সফটওয়্যার কি? সফটওয়্যার নাম কিভাবে আসল? - TECHNICAL BANGLA

সফটওয়্যার কি? সফটওয়্যার নাম কিভাবে আসল?

 সফটওয়্যার  কি?  সফটওয়্যার  নাম কিভাবে আসল?

আসসালামু আলাইকুম, পাঠক  বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহ তা'লার রহমতে সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমি ও ভালো আছি। প্রথমেই আমার ব্লগে আসার জন্য  আপনাকে সুস্বাগতম।
আজ থেকে আমাদের প্রযুক্তি সংক্রন্ত  এবং ওপারেটিং সিস্টেম সংক্রন্ত  বিষয় শুরু করতে যাচ্ছি। আবারও বলি  আমি কোন প্রফেশোনাল ব্লগার নই। যদি লেখার ভিতরে  কোথাও ভুল হয়, তাহলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
আজকের টিউটরিয়াল হচ্ছে সফটওয়্যার কি বা  এর কাজ কি? চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করি,,,

হয়তো অনেকে মনে এই প্রশ্নগুলো থাকতে পারে,,,,,  নিম্ন সবকিছু আলোচনা করা হলো---

★সফটওয়্যার  কি?
★ সফটওয়্যার  নাম কিভাবে আসল?
★ সফটওয়্যার কেন ব্যবহার করা হয়?
★ সফটওয়্যার কত প্রকার ও কি কি? 



★সফটওয়্যার কি....?

কম্পিউটারের সাহায্যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য ধারাবাহিক সাজানোর নির্দেশনা সমূহ কে বলা হয় প্রোগ্রাম এবং একাধিক প্রোগ্রামের সমষ্টিকে বলা হয় সফটওয়্যার। অন্যভাবে বলা যায় কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এর কার্যক্ষমতা ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম সম্পর্কে সফটওয়্যার বলা হয়।

* গনিতবিদ Jon Wilder Tukey আমেরিকার একটি গনিতবিষয়ক ম্যাগাজিনে তার লেখা আর্টিক্যালে Software শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন।Jon W. Shelden কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত পৃথিবীর প্রথম সফটওয়্যার কোম্পানির নাম Copmuter Usage Company ( CUC ).
আমরা এনড্রয়েড ফোনে নানা রকম গেম খেলি এগুলো সফটওয়্যার।আবার কম্পিউটারে আমরা লেখা লেখি করি ওটা একটা সফটওয়্যার। কয়েকটি সফটওয়্যার নাম : Notepad, Microsoft Word, Microsoft office,   Windows,  Dos, Android  games etc.

★সফটওয়্যার এর প্রকারভেদ?


কম্পিউটারে সাধারণত দুই ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় যেমন,

১. সিস্টেম সফটওয়্যার  এবং
২. অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার

  ★ সিস্টেম সফটওয়্যার :
* কম্পিউটার অন করার সাথে সাথে কম্পিউটার স্মৃতিতে ব্যবহারিক প্রোগ্রাম পড়ে নিতে এবং পঠিত প্রোগ্রামকে পরীক্ষণ ও চালনার জন্য যে সমস্ত সফটওয়্যার প্রয়োজন হয় তাকে সিস্টেম সফটওয়্যার বলা হয়।সিস্টেম সফটওয়্যার হচ্ছে কম্পিউটার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সিস্টেম সফটওয়্যার কম্পিউটারের বিভিন্ন ইনপুট/আউটপুট ডিভাইসের মধ্যে কাজের সমন্বয় রক্ষা করে ব্যবহারিক প্রোগ্রাম চালনার জন্য কম্পিউটার কে তৈরি রাখে।
সিস্টেম সফটওয়্যার বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে।কম্পিউটারের ক্ষমতা ও সংগঠনের উপর সিস্টেম সফটওয়্যারের ক্ষমতা, ব্যাপ্তি ও দক্ষতা নির্ভর করে। এবার, ,

* সিস্টেম সফটওয়্যার কে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায় যথা,,,

১. সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম,
২. সিস্টেম সাপোর্ট প্রোগ্রাম,  এবং
৩. সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম।

*সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম :
সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট বা সিস্টেম  কন্ট্রোল প্রোগ্রামের মাধ্যমে কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ডেটা, প্রোগ্রাম, বিভিন্ন ডিভাইস এবং নেটওয়ার্ক।নিয়ন্ত্রণ করা যায়।সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম নিম্নলিখিত প্রোগ্রামের সমন্বয়ে।গঠিত হয়।যথা-
 * অপারেটিং সিস্টেম প্রোগ্রাম,
 ** ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ,
***নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম ইত্যাদি।

২. সিস্টেম সাপোর্ট  প্রোগ্রাম :
সিস্টেম সহায়ক প্রোগ্রামের সাহায্যে কম্পিউটার ব্যবহারকারী সার্ভিস প্রোগ্রাম, নিরাপত্তা প্রদানের প্রোগ্রাম এবং কাজের হিসাব নিকাশসহ ইত্যাদি কাজ কার্যকর করতে পারে।সিস্টেম সহায়ক প্রোগ্রাম নিম্নলিখিত প্রোগ্রামগুলো নিয়ে গঠিত।যথা-
  * সিস্টেম ইউটিলিটি প্রোগ্রাম,
 ** সিস্টেম পারফরমেন্স প্রোগ্রাম এবং
 *** সিস্টেম  সিকিউরিটি প্রোগ্রাম ইত্যাদি।

৩. সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম:
সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ব্যবহার  করে ব্যবহারিক প্রোগ্রাম উন্নয়ন করা যায় এবং বিভিন্ন ব্যবহারিক সমস্যা সমাধন করা যায়। সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম নিম্নলিখিত প্রোগ্রাম গুলো নিয়ে গঠিত। যথা-
  * প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ট্রন্সলেটর,
 ** কম্পিউটার এইডেড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং প্যাকেজসমূহ, ইত্যাদি।


আমরা এখানেই সিস্টেম সফটওয়্যার শেষ করলাম, এবার আমরা দেখবো--

  ★আপ্লিকেশন সফটওয়্যার কি?
 ★আপ্লিকেশন সফটওয়ার কেন ব্যবহার  করা হয় ?
  ★আপ্লিকেশন কত প্রকার এবং কি কি ?


* আপ্লিকেশন সফটওয়্যার কি?

যে সমস্ত সফটওয়্যার ব্যবহার করে ব্যবহারকারী তার প্রয়োজনীয় ব্যবহারিক সমস্যা সমাধান বা ডাটা প্রক্রিয়াকরণ কাজ করতে পারে তাকে আপ্লিকেশন সফটওয়্যার বা ব্যবহারিক সফটওয়্যার বলা হয়।  এসব সফটওয়্যার কে সাধারণত প্যাকেজ প্রোগ্রামও বলা হয়।

*আপ্লিকেশন সফটওয়্যারের প্রকারভেদ?

আপ্লিকেশন সফটওয়্যার কে দুই ভাগে ভাগ করা যায় যথা,
১. সাধারণ ব্যবহারিক প্রোগ্রাম এবং
২. অ্যাপ্লিকেশনের সুনির্দিষ্ট প্রোগ্রাম  বা কাস্টমাইজ প্রোগ্রাম।

*সাধারন ব্যাবহারিক  প্রোগ্রাম :
ব্যবহারিক সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তৈরী  যে সমস্ত বাণিজ্যিক সফটওয়্যার পাওয়া যায় তাকে সাধারণ অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম  বলা হয়।সাধারণ অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামের সাহায্যে ব্যবহারকারী প্রাত্যহিত জীবনের গুরূত্বপূর্ণ ব্যবহারিক  সমস্যা সমাধান করতে পারে।
যেমন-
ওয়েব ব্রাউজিং, ই-মেইল,ওয়ার্ড় প্রসেসিং,স্পেডশিট প্রোগ্রাম, ডেটাবেস মেনেজমেন্ট, গ্রাফিক্স এবং ডেস্কটপ পাবলিশিং ইত্যাদি কাজ সম্পূর্ণ করতে পারেন। এই গুলোই ব্যবহারিক প্রোগ্রামেরর অন্তর্ভুক্ত।


আমি আপনাদের মাঝে সফটওয়্যার বিষয়ে কিছুটা ধারণা  দেয়ার চেষ্টা করছি।
আশা করি আপনারা সবাই বুঝতে পেরেছেন।আজকের টিউটরিয়াল এই পর্যন্তই আবারও দেখা হবে পরবর্তীতে টিউটরিয়ালে।  সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন। পাশের মানুষদের সুস্থ্য  রাখার চেষ্টা করবেন  এবং সবর্দা সৎ ভাবে চলবেন।

1 comment:

  1. অসাধারণ একটি পোস্ট আমাদের সাথে সেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ । আপনি কি জানেন flight mode থাকা অবস্থাতেও ইন্টারনেট ব্যাবহার করা যায় ।

    ReplyDelete

Theme images by diane555. Powered by Blogger.