হ্যাকিং কি? হ্যাকার কে?? - TECHNICAL BANGLA

হ্যাকিং কি? হ্যাকার কে??

হ্যাকিং কি?  হ্যাকার কে??

বেশ কিছু দিন পর আবারও ছোট্ট একটা টিউটরিয়াল নিয়ে  আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। প্রথমে  আমার ব্লগে আসার জন্য, আপনাকে অভিন্দন । আমি কোন প্রফেশোনাল ব্লগার নই। আমি বাংলা বেশি ভালো লিখতে পারি না। আমি ছোট বেলা থেকেই বাংলা খুব কাচাঁ। আবার কেউ এমনটা ভাবেন না যে আমি বাংলা পারি না, তাই বলে ইংরেজি ভালো পারি, আসলেই না। অনেক কষ্ট করে আপনি পোষ্টটা  পড়তেছেন । অযথা আর বিরক্তি না করে,,,,,,, শুরু করে দেয়া যাক!


আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহ রহমতে আপনারা সবাই ভালো, আপনাদের দোয়ায় আমি ও ভালো আছি। প্রথমে আমার পরিচয় টা দিয়ে শুরু করি, আমি মো: আসাদুজ্জামান (নয়ন)। আপনাদের মতো আমি ও একজন ছাত্র। আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত, আপনার  কিছুটা সময় নষ্ট করে ফেলেছি। আশা করি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।আজকের বিষয় হচ্ছে-

 ★ হ্যাকিং কি?
 ★ হ্যাকিং  কেন করে?
 ★হ্যাকার কে বা কারা?
 ★কেন তাদের কে হ্যাকার বলা হয়?
 ★ কত ধরনের হ্যাকার রয়েছে?


আপনার মন হয়তো এই প্রশ্ন গুলো জেগে  উঠেছে....... আশা করি  আপনার সব উত্তর দেয়ার চেষ্টা করছি। আপনি নিচে পেয়ে যাবেন।


১. হ্যাকিং কি?  এবং কেনই বা হ্যাকিং  করে?


ইন্টারনেটের জগতে, বা ইন্টনেটে যারা বিনা অনুমতিতে অন্য কারো তথ্য প্রবেশ করে এবং তা নিজের করে ব্যবহার করাই হ্যাকিং,
 আবার এভাবে বলা যায় বিনা অনুমতিতে  প্রোগ্রাম রচনা ও প্রয়োগের মাধ্যমে কোন কম্পিউটার  সিষ্টেম বা নেটওয়ার্কের প্রবেশ করে ক্ষতিসাধন করাকেই হাকিং বলে। উদাহরন হিসাবে বলা যায়,বাংলাদেশ থেকে যেমন ৬০০ কোটি টাকার মতো হ্যাকিং করে নিয়ে গেছে।হ্যাকিং একটা অপরাধ মূলক কাজ! এগুলো কে আমার হ্যাকিং  হিসাবে ধরা যায়।

২. ★ হ্যাকার কে বা কারা?    
    ★ কেন তারা হ্যাকার?


বিনা অনুমতিতে যারা কম্পিউটারের নেটওয়ার্কে প্রবেশ করাই হ্যাকিং।যারা এই হ্যাকিং  করে তারাই হ্যাকার।হ্যাকার অর্থ
সুদক্ষ অথচ অনিয়মতান্ত্রিক প্রোগ্রামার।প্রচলিত অর্থে হ্যাকার শদ্বটি দ্বারা এমন ব্যক্তিবর্গকে বুঝানো হয় যারা কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কের ক্ষতিসাধন তৎপরতার অবৈধ কার্যকলাপের লিপ্ত থাকে।হ্যাকারা সাধারণত দক্ষ প্রোগ্রামার হয়ে থাকে এবং সিস্টেম বিধ্বংসী প্রোগ্রাম রচনায় উৎসাহী বোধ করে। অতি উৎসাহ কিংবা শুধু খোলাচ্ছলে আনন্দ উপভোগের আকাঙ্ক্ষা বা ক্ষতি করার মানেই হ্যাকাররা তাদের রচিত প্রোগ্রামসমূহ গোপনে কম্পিউটার সিস্টেম বা নেইওয়ার্কে ইন্সটল করে সিস্টেমের ক্ষতিসাধন করে থাকে।বাংলাদেশের মতো আরো বিভিন্ন দেশে হ্যাকার রয়েছে। হ্যাকার তিন প্রকার- যেমন

  ★Black Hart Hacker-  কালো টুপির হ্যাকার

  ★ White Hart Hacker- সাদা টুপির হ্যাকার 
   ★Gray Hart Hacker - ধূসর টুপির হ্যাকার। 


**কালো টুপির হ্যাকার : এই হ্যাকাররা বিভিন্ন কম্পিউটার সিস্টেম ও নেটওয়ার্ক হ্যাক করে নিজের ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য নানা ধরণের অপরাধ সংঘটিত করে। যেমন – ক্রেডিট কার্ডের পাসওয়ার্ড চুরি,ব্যক্তিগত তথ্যচুরি করে অন্য কোন গ্রুপের কাছে বিক্রি করা,বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আক্রমণ চালিয়ে ওয়েবসাইট ডাউন করে দেয়া ইত্যাদি। মূলত সাইবার ক্রিমিনাল বলতে ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারদেরই বোঝানো হয়। এই হ্যাকারা সর্বদা খারাপ। তারা সবকিছুই হ্যাক করে তা ব্যবহার করে। তারা প্রয়োজন মতো হ্যাক করে। অনেকেই black hart hacker এটা তাদের পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছে। তারা আমাদের সব সময় ক্ষতি করার চেষ্টা করে।

**সাদা টুপির হ্যাকার: এই হ্যাকারা সবচেয়ে ভালো এবং আদর্শ হ্যাকার। এদের আরেক নাম ‘ইথিক্যাল হ্যাকার’। এরা মূলত সিকিউরিটি এক্সপার্ট যাদেরকে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের সিস্টেমের দূর্বলতা খুঁজে বের করার জন্য নিয়োগ দেয়। এরা বিভিন্ন কম্পানির  বা প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করে এবং কোনো ওয়েবসাইট বা ইন্টারনেটের কোনো সমস্যা বা সিকিউরিটি দূবর্ল থাকলে তা সংশোধন করে দেয়। এদের বিশ্বাস করা যায়। এই আদর্শ হ্যাকার একটা দেশের হয়ে কাজ করে।

*** ধূসর টুপির হ্যাকার : এই  হ্যাকাররা মূলত শখের বসেই এই হ্যাকিং এর কাজ করে থাকেন। ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার অনুমতি ছাড়াই কম্পিউটার সিস্টেম হ্যাক করে তথ্য চুরি ও অন্যান্য নানা অপরাধ করে থাকে। হোয়াইট হ্যাট হ্যাকাররা সংশ্লিষ্ট সবার অনুমতি নিয়ে সিস্টেম হ্যাক করার মাধ্যমে ত্রুটি খুঁজে বের করে তা ঠিক করতে সাহায্য করে। আর গ্রে হ্যাট হ্যাকার অনুমতি ছাড়া কোন সিস্টেম হ্যাক করে থাকলেও সেটির মাধ্যেম কোন তথ্য চুরি করে না। বরং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সিস্টেম হ্যাক করার পরে এর সিকিউরিটি ঠিক করতে সময় দেয়। এই হ্যাকারা ভালো এবং খারাপ দুটোই। এরা নিজের নিজের ইচ্ছা মতো কাজ করে। এরা যেমন অন্যের তথ্য হ্যাক করতে পারে ঠিক তোমনি আবার সংশোধন ও করে দিতে পারে।ঠিক এদের কোনো ধারাবাধা নিয়ম নেই। এরাই হ্যাকিং কে ভালো এবং খারাপ পেশা হিসেবে বেছে নেয়।

পোষ্টাতে যদি কোনো শব্দ ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
আজকের টিপস এই পযর্ন্ত আবার দেখা হবে পরবর্তী টিউটরিয়ালে। সবাই ভালো সুস্থ থাকবেন।আশে পাশে মানুষ গুলো কেউ সুস্থ রাখবেন।
      


1 comment:

Theme images by diane555. Powered by Blogger.