ছোটদের মজার কবিতা
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ, পাঠক বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন,,,??আশা করি সবাই ভালো আছেন।টেকনিকাল বাংলার পক্ষ থেকে, আমি নয়ন আছি, আপনাদের সাথে বরাবরের মতো সবাইকে স্বাগতম। পাঠক বন্ধুরা আপনারা হয়তো অনেক বিরক্তি বোধ করতেছেন। এখন পর্যন্ত আমি ২৭ টা লেখকের কবিতা দিয়েছি।মানুষকে কিছু শিখানোই আমার একমাত্র উদ্দেশ্য। প্রিয় পাঠক,,, বন্ধুরা আজকে আমি ছোটদের জন্য মজার মজার কবিতা শেয়ার করবো। মাঝে মাঝে একটু বিনোদনের ও প্রয়োজন।
হ্যালো বন্ধুরা ছোটদের কবিতা পর্ব-০১: এ আপনাদের আবার স্বাগতম।পাঠক বন্ধুরা কবিতা গুলো পড়ে মজা পাবেন এবং ছোটদের কবিতা গুলো শেখানোর চেষ্টা করবেন।ছোট বেলায় আমরা অনেক মজার মজার কবিতা পড়েছি। আজ সেগুলাই শেয়ার করতে যাচ্ছি। এখানে বিভিন্ন লেখকের কবিতা থাকবে। প্রতি পর্বে পাঁচটা করে কবিতা থাকবে। বেশি কবিতা দিলে সবাই বিরক্তি বোধ করে। তাই প্রতি পর্বে পাঁচটা কবিতাই যথেষ্ট বলে মনে করি।অনেক কথা বললাম, যদি লেখার ভিতরে কোনো ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে সবাই ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। আর কথা বলি তাহলে চলুন,,,,অবশেষে একটা কথা বলা দরকার আপনার যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই অন্যের মাঝে শেয়ার করবেন এবং সবাইকে পড়ার সুযোগ করে দিবেন।
♦♦♦চলুন ছোটদের কবিতা পড়ে আসি-
আমাদের ছোটো নদী চলে বাঁকে বাঁকে
বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে।
পার হয়ে যায় গোরু, পার হয় গাড়ি,
দুই ধার উঁচু তার, ঢালু তার পাড়ি।
চিক্ চিক্ করে বালি, কোথা নাই কাদা,
একধারে কাশবন ফুলে ফুলে সাদা।
কিচিমিচি করে সেথা শালিকের ঝাঁক,
রাতে ওঠে থেকে থেকে শেয়ালের হাঁক।
আর-পারে আমবন তালবন চলে,
গাঁয়ের বামুন পাড়া তারি ছায়াতলে।
তীরে তীরে ছেলে মেয়ে নাইবার কালে
গামছায় জল ভরি গায়ে তারা ঢালে।
সকালে বিকালে কভু নাওয়া হলে পরে
আঁচল ছাঁকিয়া তারা ছোটো মাছ ধরে।
বালি দিয়ে মাজে থালা, ঘটিগুলি মাজে,
বধূরা কাপড় কেচে যায় গৃহকাজে।
আষাঢ়ে বাদল নামে, নদী ভর ভর
মাতিয়া ছুটিয়া চলে ধারা খরতর।
মহাবেগে কলকল কোলাহল ওঠে,
ঘোলা জলে পাকগুলি ঘুরে ঘুরে ছোটে।
দুই কূলে বনে বনে পড়ে যায় সাড়া,
বরষার উৎসব জেগে ওঠে পাড়া।।
২. তালগাছ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে
সব গাছ ছাড়িয়ে
উঁকি মারে আকাশে।
মনে সাধ, কালো মেঘ ফুঁড়ে যায়,
একেবারে উড়ে যায়;
কোথা পাবে পাখা সে?
তাই তো সে ঠিক তার মাথাতে
গোল গোল পাতাতে
ইচ্ছাটি মেলে তার, –
মনে মনে ভাবে, বুঝি ডানা এই,
উড়ে যেতে মানা নেই
বাসাখানি ফেলে তার।
সারাদিন ঝরঝর থত্থর
কাঁপে পাতা-পত্তর,
ওড়ে যেন ভাবে ও,
মনে মনে আকাশেতে বেড়িয়ে
তারাদের এড়িয়ে
যেন কোথা যাবে ও।
তার পরে হাওয়া যেই নেমে যায়,
পাতা কাঁপা থেমে যায়,
ফেরে তার মনটি
যেই ভাবে, মা যে হয় মাটি তার
ভালো লাগে আরবার
পৃথিবীর কোণটি।
চল্ চল্ চল্
ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল,
নিম্নে উতলা ধরণী-তল,
অরুণ প্রাতের তরুণ-দল
চলের চলের চল্
চল্ চল্ চল্।
ঊষার দুয়ারে হানি’ আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত,
আমরা টুটাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।
নব নবীনের গাহিয়া গান
সজীব করিব মহাশ্মশান,
আমরা দানির নতুন প্রাণ
বাহুতে নবীন বল।
চলের নৌ-জোয়ান,
শোনরে পাতিয়া কান
মৃত্যু-তোরণ দুয়ারে দুয়ারে
জীবনের আহ্বান।
আজকের টিউটরিয়াল এখানেই শেষ। আবার ও পরবর্তী টিউটোরিয়ালে আপনাদের আরো কিছু মজার কবিতা নিয়ে আসবো, ততক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। সবাইকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করবেন।
হ্যালো বন্ধুরা ছোটদের কবিতা পর্ব-০১: এ আপনাদের আবার স্বাগতম।পাঠক বন্ধুরা কবিতা গুলো পড়ে মজা পাবেন এবং ছোটদের কবিতা গুলো শেখানোর চেষ্টা করবেন।ছোট বেলায় আমরা অনেক মজার মজার কবিতা পড়েছি। আজ সেগুলাই শেয়ার করতে যাচ্ছি। এখানে বিভিন্ন লেখকের কবিতা থাকবে। প্রতি পর্বে পাঁচটা করে কবিতা থাকবে। বেশি কবিতা দিলে সবাই বিরক্তি বোধ করে। তাই প্রতি পর্বে পাঁচটা কবিতাই যথেষ্ট বলে মনে করি।অনেক কথা বললাম, যদি লেখার ভিতরে কোনো ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে সবাই ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। আর কথা বলি তাহলে চলুন,,,,অবশেষে একটা কথা বলা দরকার আপনার যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই অন্যের মাঝে শেয়ার করবেন এবং সবাইকে পড়ার সুযোগ করে দিবেন।
♦♦♦চলুন ছোটদের কবিতা পড়ে আসি-
১. আমাদের ছোট নদী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমাদের ছোটো নদী চলে বাঁকে বাঁকে
বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে।
পার হয়ে যায় গোরু, পার হয় গাড়ি,
দুই ধার উঁচু তার, ঢালু তার পাড়ি।
চিক্ চিক্ করে বালি, কোথা নাই কাদা,
একধারে কাশবন ফুলে ফুলে সাদা।
কিচিমিচি করে সেথা শালিকের ঝাঁক,
রাতে ওঠে থেকে থেকে শেয়ালের হাঁক।
আর-পারে আমবন তালবন চলে,
গাঁয়ের বামুন পাড়া তারি ছায়াতলে।
তীরে তীরে ছেলে মেয়ে নাইবার কালে
গামছায় জল ভরি গায়ে তারা ঢালে।
সকালে বিকালে কভু নাওয়া হলে পরে
আঁচল ছাঁকিয়া তারা ছোটো মাছ ধরে।
বালি দিয়ে মাজে থালা, ঘটিগুলি মাজে,
বধূরা কাপড় কেচে যায় গৃহকাজে।
আষাঢ়ে বাদল নামে, নদী ভর ভর
মাতিয়া ছুটিয়া চলে ধারা খরতর।
মহাবেগে কলকল কোলাহল ওঠে,
ঘোলা জলে পাকগুলি ঘুরে ঘুরে ছোটে।
দুই কূলে বনে বনে পড়ে যায় সাড়া,
বরষার উৎসব জেগে ওঠে পাড়া।।
২. তালগাছ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে
সব গাছ ছাড়িয়ে
উঁকি মারে আকাশে।
মনে সাধ, কালো মেঘ ফুঁড়ে যায়,
একেবারে উড়ে যায়;
কোথা পাবে পাখা সে?
তাই তো সে ঠিক তার মাথাতে
গোল গোল পাতাতে
ইচ্ছাটি মেলে তার, –
মনে মনে ভাবে, বুঝি ডানা এই,
উড়ে যেতে মানা নেই
বাসাখানি ফেলে তার।
সারাদিন ঝরঝর থত্থর
কাঁপে পাতা-পত্তর,
ওড়ে যেন ভাবে ও,
মনে মনে আকাশেতে বেড়িয়ে
তারাদের এড়িয়ে
যেন কোথা যাবে ও।
তার পরে হাওয়া যেই নেমে যায়,
পাতা কাঁপা থেমে যায়,
ফেরে তার মনটি
যেই ভাবে, মা যে হয় মাটি তার
ভালো লাগে আরবার
পৃথিবীর কোণটি।
৩. চল্ চল্ চল্
কাজী নজরুল ইসলাম
চল্ চল্ চল্
ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল,
নিম্নে উতলা ধরণী-তল,
অরুণ প্রাতের তরুণ-দল
চলের চলের চল্
চল্ চল্ চল্।
ঊষার দুয়ারে হানি’ আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত,
আমরা টুটাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।
নব নবীনের গাহিয়া গান
সজীব করিব মহাশ্মশান,
আমরা দানির নতুন প্রাণ
বাহুতে নবীন বল।
চলের নৌ-জোয়ান,
শোনরে পাতিয়া কান
মৃত্যু-তোরণ দুয়ারে দুয়ারে
জীবনের আহ্বান।
আজকের টিউটরিয়াল এখানেই শেষ। আবার ও পরবর্তী টিউটোরিয়ালে আপনাদের আরো কিছু মজার কবিতা নিয়ে আসবো, ততক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। সবাইকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করবেন।
No comments