কবি মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর কবিতা-সমূহ
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ, বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন,,,??আশা করি সবাই ভালো আছেন। TECHNICAL BANGLA পক্ষ থেকে আমি নয়ন আছি, আপনাদের সাথে,,,,,বরারবে মতো আবারও আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।
নিত্য নতুন কিছু কবিতা নিয়ে আপনাদের মাঝে চলে আসি,,,,
হ্যালো বন্ধুরা কবিতা পর্ব-২৪: তে আপনাদের আবার স্বাগতম।সবাই মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।কবিতা গুলো আপনার ভালো লাগলে সবার মাঝে শেয়ার করুন। আজকে আমি নিয়ে এসেছি কবি মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর লেখা ১০ টি কবিতা।
♦♦♦চলুন দেখে আসি কবিতা গুলো-
১. ভালোবাসা
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
যাদের আছে টাকা
সবাইকে দিতে তাদের পকেট হল ফাঁকা।
আমার কিছুই নেই
কেমন করে কাউকে কিছু দেই?
শুধু জানি বুকের ভিতর ঠাসা
আছে শুধু সলিড ভালোবাসা।
সেখান থেকে তোমায় দিলাম কিছু
যখন তুমি হেঁটে এলে আমার পিছু পিছু।
পথের পাশে ছোট মেয়েটা বিক্রি করে ফুল
তাকেও কিছু দিতে হল হয়নি কোনো ভুল।
বুকের থেকে ভালোবাসা খাবলা দিয়ে নেই
ছোট ভাইটা দুষ্টু ভারি তাকে কিছু দেই।
মা’কে দিলাম আঁচলখানা ভরে
বাবার জন্য ঢেলে দিলাম রইল যেটুক পড়ে।
ভেবেছিলাম দিয়ে থুয়ে সবই বুঝি যাবে
ভালোবাসা খুঁজলে পরে আর কিছু কই পাবে?
কিন্তু দেখো অবাক ব্যাপার কতো
যত দিচ্ছি কমছে না তো,বাড়তে থাকে তত!
বুকের ভেতর এক্কেবারে ঠাসা
নূতন করে জমা হল সলিড ভালোবাসা।
২. রাজকন্যা ও রাজপুত্র
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
গল্প পুরো সত্য
গহীন এক জঙ্গলে থাকতো বড় দৈত্য।
ভাটার মত চোখ ছিল তার মুলার মত দাঁত
ঢেঁকির মত পা ছিল আর গাছের মত হাত।
সেই রাজ্যের রাজকন্যা কাজল কালো চোখ
রূপ দেখে তার মুগ্ধ ছিল রাজ্যের সব লোক।
একদিন সেই রাজকন্যা রাজপ্রাসাদের ছাদে
সখী নিয়ে কাজল বরণ চুলগুলো তার বাঁধে।
হাউ মাউ খাউ বলে হঠাৎ সেই দৈত্য ছুটে আসে
সখীরা সব পালায় ভয়ে রইল না কেউ পাশে।
দৈত্য তখন রাজকন্যার চুলের মুঠি ধরে
টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেল জঙ্গলে তার ঘরে।
রাজকন্যা হারিয়ে গেছে রাজ্যে নামে শোক
মাথা চাপড়ে কাঁদতে থাকে রাজ্যের সব লোক।
ভিনদেশি এক রাজপুত্র খবর পেয়ে আসে
বলল তখন ভয় নেই গো আমি আছি পাশে।
পথে পথে ঘুরে বেড়ায় রাজপুত্র সেই
রাজকন্যা খুঁজে বেড়ায় কোথাও দেখা নেই।
বনের পশু, গাছের পাখি নদীর মাঝে মাছ
নীল আকাশে সাদা মেঘ বনের মাঝে গাছ।
রাজকন্যার হদিস নেই রাজ্যতে হই চই।
সবার শেষে গহীন বনে রাজপুত্র যায়
মৌমাছিদের মুখে তখন দৈত্যের খোঁজ পায়।
রাজপুত্র ছুটে চলল হাতে তলোয়ার
ভয়ংকর সেই দৈত্যকে মারতে হবে তার।
কী ভয়ানক যুদ্ধ হল নেই তুলনা তার
পাহাড় নদী পড়ল ধসে সবকিছু ছারখার
দৈত্য শেষে মারা পড়ল মাথা পড়ল কাটা
রক্ত মুছে রাজপুত্র করল শুরু হাঁটা।
ঘরের মাঝে বন্দি ছিল রাজকন্যা সেই
রাজপুত্র বলল তারে আর তো ভয় নেই।
রাজকন্যা মুক্ত হল মুখে মধুর হাসি
বলল, ওগো রাজপুত্র তোমায় ভালোবাসি।
গল্প শুনে মুগ্ধ সবাই, নিজের ঘরে যায়
ছোট্ট টুকুন একাই শুধু মাথাটা চুলকায়।
ভাইকে বলে, ভাইয়া তুই একটা কথা বল,
রাজকন্যা কেন দিল না একখান মিসকল?
৩. ডিজিটাল বন্ধু
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
পিংকিকে জিজ্ঞেস করে সুজন
বল তো মেয়ে বন্ধু তোমার ক’জন?
পিংকি বলে, হ্যাঁ
একজনই তো,পাশের বাসার মেয়ে।
শুনে সুজন হা হা করে হাসে
চোখ দুটো তার বড় হল ঘোর অবিশ্বাসে।
মাত্র একজন,কী আজব ব্যাপার
বন্ধু আমার পাকা সাতাশ হাজার!
ফেসবুকে তাদের সাথেই থাকি
বন্ধু ছাড়া এই জীবনের অর্থ আছে নাকী?
আমি যখন স্ট্যাটাস দিতে চাই,
দেবার আগেই শত শত লাইক পেয়ে যাই।
পিংকি শুনে অবাক হল ভারি
বাসায় তখন ফিরল তাড়াতাড়ি।
বন্ধু মেয়েটির গলা ধরে বলে
তুই কথা দে আমার কিছু হলে,
তুই থাকবি আমার পাশে পাশে
শুনে বন্ধু হি হি করে হাসে।
হেসে হেসে বলে,
হঠাৎ করে যাসনে যেন চলে।
ধরতে পারি ছুঁতে পারি একটা বন্ধু চাই
ডিজিটাল হাজার বন্ধুর কোনো দরকার নাই!
নিত্য নতুন কিছু কবিতা নিয়ে আপনাদের মাঝে চলে আসি,,,,
হ্যালো বন্ধুরা কবিতা পর্ব-২৪: তে আপনাদের আবার স্বাগতম।সবাই মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।কবিতা গুলো আপনার ভালো লাগলে সবার মাঝে শেয়ার করুন। আজকে আমি নিয়ে এসেছি কবি মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর লেখা ১০ টি কবিতা।
♦♦♦চলুন দেখে আসি কবিতা গুলো-
১. ভালোবাসা
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
যাদের আছে টাকা
সবাইকে দিতে তাদের পকেট হল ফাঁকা।
আমার কিছুই নেই
কেমন করে কাউকে কিছু দেই?
শুধু জানি বুকের ভিতর ঠাসা
আছে শুধু সলিড ভালোবাসা।
সেখান থেকে তোমায় দিলাম কিছু
যখন তুমি হেঁটে এলে আমার পিছু পিছু।
পথের পাশে ছোট মেয়েটা বিক্রি করে ফুল
তাকেও কিছু দিতে হল হয়নি কোনো ভুল।
বুকের থেকে ভালোবাসা খাবলা দিয়ে নেই
ছোট ভাইটা দুষ্টু ভারি তাকে কিছু দেই।
মা’কে দিলাম আঁচলখানা ভরে
বাবার জন্য ঢেলে দিলাম রইল যেটুক পড়ে।
ভেবেছিলাম দিয়ে থুয়ে সবই বুঝি যাবে
ভালোবাসা খুঁজলে পরে আর কিছু কই পাবে?
কিন্তু দেখো অবাক ব্যাপার কতো
যত দিচ্ছি কমছে না তো,বাড়তে থাকে তত!
বুকের ভেতর এক্কেবারে ঠাসা
নূতন করে জমা হল সলিড ভালোবাসা।
২. রাজকন্যা ও রাজপুত্র
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
গল্প পুরো সত্য
গহীন এক জঙ্গলে থাকতো বড় দৈত্য।
ভাটার মত চোখ ছিল তার মুলার মত দাঁত
ঢেঁকির মত পা ছিল আর গাছের মত হাত।
সেই রাজ্যের রাজকন্যা কাজল কালো চোখ
রূপ দেখে তার মুগ্ধ ছিল রাজ্যের সব লোক।
একদিন সেই রাজকন্যা রাজপ্রাসাদের ছাদে
সখী নিয়ে কাজল বরণ চুলগুলো তার বাঁধে।
হাউ মাউ খাউ বলে হঠাৎ সেই দৈত্য ছুটে আসে
সখীরা সব পালায় ভয়ে রইল না কেউ পাশে।
দৈত্য তখন রাজকন্যার চুলের মুঠি ধরে
টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেল জঙ্গলে তার ঘরে।
রাজকন্যা হারিয়ে গেছে রাজ্যে নামে শোক
মাথা চাপড়ে কাঁদতে থাকে রাজ্যের সব লোক।
ভিনদেশি এক রাজপুত্র খবর পেয়ে আসে
বলল তখন ভয় নেই গো আমি আছি পাশে।
পথে পথে ঘুরে বেড়ায় রাজপুত্র সেই
রাজকন্যা খুঁজে বেড়ায় কোথাও দেখা নেই।
বনের পশু, গাছের পাখি নদীর মাঝে মাছ
নীল আকাশে সাদা মেঘ বনের মাঝে গাছ।
রাজকন্যার হদিস নেই রাজ্যতে হই চই।
সবার শেষে গহীন বনে রাজপুত্র যায়
মৌমাছিদের মুখে তখন দৈত্যের খোঁজ পায়।
রাজপুত্র ছুটে চলল হাতে তলোয়ার
ভয়ংকর সেই দৈত্যকে মারতে হবে তার।
কী ভয়ানক যুদ্ধ হল নেই তুলনা তার
পাহাড় নদী পড়ল ধসে সবকিছু ছারখার
দৈত্য শেষে মারা পড়ল মাথা পড়ল কাটা
রক্ত মুছে রাজপুত্র করল শুরু হাঁটা।
ঘরের মাঝে বন্দি ছিল রাজকন্যা সেই
রাজপুত্র বলল তারে আর তো ভয় নেই।
রাজকন্যা মুক্ত হল মুখে মধুর হাসি
বলল, ওগো রাজপুত্র তোমায় ভালোবাসি।
গল্প শুনে মুগ্ধ সবাই, নিজের ঘরে যায়
ছোট্ট টুকুন একাই শুধু মাথাটা চুলকায়।
ভাইকে বলে, ভাইয়া তুই একটা কথা বল,
রাজকন্যা কেন দিল না একখান মিসকল?
৩. ডিজিটাল বন্ধু
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
পিংকিকে জিজ্ঞেস করে সুজন
বল তো মেয়ে বন্ধু তোমার ক’জন?
পিংকি বলে, হ্যাঁ
একজনই তো,পাশের বাসার মেয়ে।
শুনে সুজন হা হা করে হাসে
চোখ দুটো তার বড় হল ঘোর অবিশ্বাসে।
মাত্র একজন,কী আজব ব্যাপার
বন্ধু আমার পাকা সাতাশ হাজার!
ফেসবুকে তাদের সাথেই থাকি
বন্ধু ছাড়া এই জীবনের অর্থ আছে নাকী?
আমি যখন স্ট্যাটাস দিতে চাই,
দেবার আগেই শত শত লাইক পেয়ে যাই।
পিংকি শুনে অবাক হল ভারি
বাসায় তখন ফিরল তাড়াতাড়ি।
বন্ধু মেয়েটির গলা ধরে বলে
তুই কথা দে আমার কিছু হলে,
তুই থাকবি আমার পাশে পাশে
শুনে বন্ধু হি হি করে হাসে।
হেসে হেসে বলে,
হঠাৎ করে যাসনে যেন চলে।
ধরতে পারি ছুঁতে পারি একটা বন্ধু চাই
ডিজিটাল হাজার বন্ধুর কোনো দরকার নাই!
৪. শত প্রশ্ন
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
ক্রিকেট মানে যদি ঝিঁঝিঁ পোকা হয়
ফুটবল মানে কেন তেলাপোকা নয়?
ব্যাট মানে যদি চামচিকে হয়
বল মানে তবে কেন ইন্দুর নয়?
‘হায়’ মানে যদি কী খবর হয়
হুতাশ মানে কেন ভালো আছ নয়?
স্যান্ডেল মানে যদি চন্দন হয়
জুতা মানে তবে কেন সেগুন নয়?
লং মানে যদি লম্বা হয়
এলাচি মানে কেন বেঁটে নয়?
রাগ মানে যদি কার্পেট হয়
গোস্বা মানে কেন বিছানা নয়?
লাভ মানে যদি ভালোবাসা হয়
লোকসান কেন তবে খুনোখুনি নয়?
বুক মানে যদি বই হয়
পেট মানে কেন খাতা নয়?
লাফ মানে যদি হাসাহাসি হয়
ঝাঁপ মানে কেন কাঁপাকাপি নয়?
পেপার মানে যদি গোলমরিচ হয়
ম্যাগাজিন মানে কেন জিরা –বাটা নয়?
টক মানে যদি কথা হয়
ঝাল মানে কেন তবে বার্তা নয়?
টি মানে যদি চা হয়
ইউ মানে কেন কফি নয়?
মামা মানে যদি আম্মু হয়
মামী মানে কেন আব্বু নয়?
গান মানে যদি বন্দুক হয়
বাজনা মানে কেন রাইফেল নয়
ফুল মানে যদি বেকুব হয়
কলি মানে তবে কেন গাধা নয়?
গুন মানে যদি গুণ্ডা হয়
ভাগ মানে তবে কেন বদমাশ নয়?
আই মানে যদি চোখ হয়
জে মানে কেন তবে নাক নয়?
পি মানে যদি হিস্যু করা হয়
কিউ মানে তবে কেন “ইয়ে” করা নয়?
এরকম কত প্রশ্ন,চোখে ঘুম নাই
উত্তর খুঁজতে আমি কার কাছে যাই?
৫. বৃষ্টিতে ভিজে এল
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
ছাতা ছাড়া বের হয়েছে গেণ্ডারিয়ার মতি
হঠাৎ দেখি বৃষ্টি এল কী হবে তার গতি?
শার্ট ভিজল প্যান্ট ভিজল ভিজল জুতো জোড়া
মাথা ভিজল ঘাড় ভিজল ভিজল পায়ের গোড়া।
নাক ভিজল চোখ ভিজল ভিজল কানের লতি
বৃষ্টিতে আজ ধরা খেল গেণ্ডারিয়ায় মতি।
ভিজে হল চুপচুপে সে ভিজল সাড়া গা
সবকিছু ভিজলেও তার চুল ভিজল না!
৬. ভেসে থাকা
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
মাটি থেকে ভেসে থাকা সোজা একটা কাজ
কেমন করে করতে হয় শিখিয়ে দেব আজ।
তুমি তুলবে আমাকে এই রকম করে,
আমি তুলব তোমাকে শক্ত করে ধরে।
তারপরে
দুইজন দুইজনকে ধরে রাখব মাটির উপরে।
৭. বিলাপ
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
ঘুম থেকে উঠেই কী দেখলাম আজ
কেমন করে করলে তুমি এই সর্বনাশা কাজ?
শাড়ি দিয়ে প্যাঁচ লাগিয়ে গলায় দিলে দড়ি
দুঃখে আমার বুক ফেটে যায় কী এখন করি?
এই দুঃখ এখন আমি কেমনে সইতে পারি?
তুমি কী জানতে না গো,
এইটা আমার মোস্ট ফেবারিট শাড়ি?
৮. অভাগা
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
অভাগা যেদিকে চায়
সাগর শুকায়ে যায়।
সত্যি?
তোমরা কই জান
পৃথিবীটা ডুবে যাচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণতায়?
অভাগারা,তোমরা কোথায়?
কোন জায়গায়?
তাড়াতাড়ি চলে আস সমুদ্রের পাড়
তোমাদের দেশে এখন খুব দরকার।
অপূর্ব এই সুযোগ পানি কমাবার
চলে আস কুয়াকাটা কক্সবাজার।
৯. ছাই
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
যেখানে দেখিবে ছাই
উড়াইয়া দেখ তাই,
পাইলে পাইতে পার অমূল্য রতন।
(এমন বোকা আমি দেখি নাই তোমার মতন!)
উড়াইয়া দেখি ছাই
পাবলিকের পিটা খাই?
ভেবেছটা কী
আমার মাথায় বুঝি কোনো ঘিলু নাই?
১০. জীবন
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
দুইজন বাচ্চার ঝগড়া চলছে
ডাবলিউ লেখা আছে একজন বলছে।
এম লেখা, এম এটা অন্যজন বলল,
তারপর কী ভীষণ চেঁচামেচি চলল।
দুজনেই ঠিক তারা,যদি সেটা জানতো
ঝগড়া থামিয়ে তবে হয়ে যেত শান্ত।
উল্টো দিক থেকে দেখলেই জানবে-
জীবনটাও এরকম কবে তারা মানবে?
আমাদের কবিতাগুলো কষ্ট করে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। পরবর্তী লেখক এর কবিতা পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।
আমাদের কবিতাগুলো কষ্ট করে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। পরবর্তী লেখক এর কবিতা পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।
No comments