সৈয়দ শামসুল হক এর কবিতা-সমূহ - TECHNICAL BANGLA

সৈয়দ শামসুল হক এর কবিতা-সমূহ

আসসালামু আলাইকুম, বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন,,,?? Technical Bangla পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।

হ্যালো বন্ধুরা কবিতা পর্ব-১৩: এ আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।আমি আজকে নিয়ে আসলাম কবি সৈয়দ শামসুল হক এর লেখা ১০ টি কবিতা গুলো সবাই মনযোগ দিয়ে পড়বেন।

চলুন দেখে আসি কবিতা গুলো- 

১.   আমারর পরিচয় 
      সৈয়দ শামসুল হক 

আমি জন্মেছি বাংলায় 
 আমি বাংলায় কথা বলি। 
 আমি বাংলার আলপথ দিয়ে, হাজার বছর চলি। 
 চলি পলিমাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে। 
 তেরশত নদী শুধায় আমাকে, কোথা থেকে তুমি এলে ? 
 
 আমি তো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকে 
 আমি তো এসেছি সওদাগরের ডিঙার বহর থেকে। 
 আমি তো এসেছি কৈবর্তের বিদ্রোহী গ্রাম থেকে 
 আমি তো এসেছি পালযুগ নামে চিত্রকলার থেকে। 
 
 এসেছি বাঙালি পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার থেকে 
 এসেছি বাঙালি জোড়বাংলার মন্দির বেদি থেকে। 
 এসেছি বাঙালি বরেন্দ্রভূমে সোনা মসজিদ থেকে 
 এসেছি বাঙালি আউল-বাউল মাটির দেউল থেকে। 
 
 আমি তো এসেছি সার্বভৌম বারোভূঁইয়ার থেকে 
 আমি তো এসেছি ‘কমলার দীঘি’ ‘মহুয়ার পালা’ থেকে। 
 আমি তো এসেছি তিতুমীর আর হাজী শরীয়ত থেকে 
 আমি তো এসেছি গীতাঞ্জলি ও অগ্নিবীণার থেকে। 
 
 এসেছি বাঙালি ক্ষুদিরাম আর সূর্যসেনের থেকে 
 এসেছি বাঙালি জয়নুল আর অবন ঠাকুর থেকে। 
 এসেছি বাঙালি রাষ্ট্রভাষার লাল রাজপথ থেকে 
 এসেছি বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর থেকে। 
 আমি যে এসেছি জয়বাংলার বজ্রকণ্ঠ থেকে 
 আমি যে এসেছি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ থেকে। 
 এসেছি আমার পেছনে হাজার চরণচিহ্ন ফেলে 
 শুধাও আমাকে ‘এতদূর তুমি কোন প্রেরণায় এলে ? 
 
 তবে তুমি বুঝি বাঙালি জাতির ইতিহাস শোনো নাই- 
 ‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।’ 
 একসাথে আছি, একসাথে বাঁচি, আজো একসাথে থাকবোই 
 সব বিভেদের রেখা মুছে দিয়ে সাম্যের ছবি আঁকবোই। 
 
 পরিচয়ে আমি বাঙালি, আমার আছে ইতিহাস গর্বের- 
 কখনোই ভয় করিনাকো আমি উদ্যত কোনো খড়গের। 
 শত্রুর সাথে লড়াই করেছি, স্বপ্নের সাথে বাস; 
 অস্ত্রেও শান দিয়েছি যেমন শস্য করেছি চাষ; 
 একই হাসিমুখে বাজায়েছি বাঁশি, গলায় পরেছি ফাঁস; 
 আপোষ করিনি কখনোই আমি- এই হ’লো ইতিহাস। 
 
 এই ইতিহাস ভুলে যাবো আজ, আমি কি তেমন সন্তান ? 
 যখন আমার জনকের নাম শেখ মুজিবুর রহমান; 
 তারই ইতিহাস প্রেরণায় আমি বাংলায় পথ চলি- 
 চোখে নীলাকাশ, বুকে বিশ্বাস পায়ে উর্বর পলি।

২.    তুমিই শুধু তুমি
      সৈয়দ শামসুল হক 

তোমার দেহে লতিয়ে ওঠা ঘন সবুজ শাড়ি। 
 কপালে ওই টকটকে লাল টিপ। 
 আমি কি আর তোমাকে ছেড়ে 
 কোথাও যেতে পারি? 
 তুমি আমার পতাকা, আমার কৃষির বদ্বীপ। 
 
 করতলের স্বপ্ন-আমন ধানের গন্ধ তুমি 
 তুমি আমার চিত্রকলার তুলি। 
 পদ্য লেখার ছন্দ তুমি−সকল শব্দভুমি। 
 সন্তানের মুখে প্রথম বুলি। 
 
 বুকে তোমার দুধের নদী সংখ্যা তেরো শত। 
 পাহাড় থেকে সমতলে যে নামি− 
 নতুন চরের মতো তোমার চিবুক জাগ্রত− 
 তুমি আমার, প্রেমে তোমার আমি। 
 
 এমন তুমি রেখেছ ঘিরে−এমন করে সব− 
 যেদিকে যাই−তুমিই শুধু−তুমি! 
 অন্ধকারেও নিঃশ্বাসে পাই তোমার অনুভব, 
 ভোরের প্রথম আলোতেও তো তুমি! 

৩.      কিছু শব্দ উড়ে যায়
      সৈয়দ শামসুল হক 

কিছু শব্দ উড়ে যায়, কিছু শব্দ ডানা মুড়ে থাকে, 
 তরল পারার মতো কিছু শব্দ গলে পড়ে যায়। 
 এমন সে কোন শব্দ নক্ষত্রের মতো ফুটে থাকে_ 
 তুমি কি দেখেছো তাকে হৃদয়েশ্বরের আয়নায়? 
 দ্যাখোনি যখন কালো অন্ধকার উঠে আসে_ গ্রাসে। 
 যখন সৌজন্য যায় কবরে মাটি কল্পতায়, 
 যখন স্তব্ধতা গিলে খেতে থাকে কামুকেরা ত্রাসে, 
 তখন তাকিয়ে দেখো শুদ্ধতার গভীর ব্যাথায়_ 
 আমার ঠোঁটের থেকে একটি যে শব্দ একদিন 
 ফুটেছিলো এই ঠোঁটে তোমারই যে দেহস্পর্শ তাপে, 
 আজ সেই শব্দ দ্যাখো পৃথিবীর বুকে অন্তরীণ_ 
 তবু তারই উচ্চারণে বৃক্ষপাতা বারবার কাঁপে। 
 পড়ে নিও তুমি তাকে, দেখে নিও আকাশে নয়তো 
 সেই শব্দ ‘ভালোবাসি’ নক্ষত্রের মতোই হয়তো।। 

৪. একেই বুঝি মানুষ বলে    
     সৈয়দ শামসুল হক 

নষ্ট জলে পা ধুয়েছো এখন উপায় কি? 
 আচ্ছাদিত বুকের বোঁটা চুমোয় কেটেছি। 
 কথার কোলে ইচ্ছেগুলো বাৎসায়নের রতি, 
 মানে এবং অন্য মানে দুটোই জেনেছি। 
 নষ্ট জলে ধুইয়ে দেবে কখন আমার গা, 
 তোমার দিকে হাঁটবে কখন আমার দুটো পা? 
 সেই দিকে মন পড়েই আছে, দিন তো হলো শেষ; 
 তোমার মধ্যে পবিত্রতার একটি মহাদেশ 
 এবং এক জলের ধারা দেখতে পেয়েছি- 
 একেই বুঝি মানুষ বলে, ভালোবেসেছি।

৫.    একুশের কবিতা
        সৈয়দ শামসুল হক 

সভ্যতার মণিবন্ধে সময়ের ঘড়ি 
 শিশুর জন্ম থেকে জরাদেহ ক্ষীণশ্বাস মানবের অবলুপ্তির সীমারেখায় 
 বলে গেল সেই কথা। সেই কথা বলে গেল অনর্গল– 
 
 তপ্তশ্বাস হাহুতাশ পাতাঝরা বিদীর্ণ বৈশাখীর জ্বালাকর দিগন্তে 
 আষাঢ়ের পুঞ্জীভূত কালো মেঘ আসবেই ঠিক। 
 সাগরের লোনাজলে স্নিগ্ধ মাটীর দ্বীপ 
 শ্যামলী স্বপ্নের গান বুকে পুষে 
 নবীন সূর্য্যেরে তার দৃঢ় অঙ্গীকার জানাবেই। 
 সংখ্যাহীন প্রতিবাদ ঢেউয়েরা আসুক, তুমি স্থির থেকো। 
 প্রাকৃতিক ঝঞ্ঝাবাত অবহেলা করি 
 সঞ্চয় করে যাও মুঠো মুঠো গৈরিক মাটী: 
 সবুজ গন্ধবাহী সোনালী সূর্য্যের দিশা 
 অকস্মাৎ উদ্ভাসিত কোরে দেবে তোমার চলার পথ। 
 
 সভ্যতার মণিবন্ধে সময়ের ঘড়ি 
 শিশুর জন্ম থেকে জরাদেহ ক্ষীণশ্বাস মানবের অবলুপ্তির সীমারেখায় 
 বলে গেল সেই কথা। সেই কথা বলে গেল অনর্গল– 
 পৃথিবীর জিজীবিষু আত্মার আছে। ঘনীভূত জনতার হৃদয়ে হৃদয়ে 
 উজ্জ্বল শিখা সেই অমর সংবাদে ঢেউ তুলে দিয়ে গেল।। 

৬.        যদি মনে করো 
         সৈয়দ শামসুল হক 
 
যদি মনে করো ভালোবাসা মরে গেছে 
যদি মনে করো ভালোবাসা আর নেই 
যদি মনে করো ভালোবাসা বলে কখনো ছিল না কিছু— 
তখন তাকিয়ে দেখো বাগানের দিকে— 
সূর্যের দিকে শিমলতা চেয়ে আছে! 
অথবা গাছের গুঁড়িতে পিঁপড়ে বাসা করে দেখে নিয়ো, 
বেরিয়েছে ওরা তোমার গলার মতির মালার মতো 
দীর্ঘ সারিতে মানুষের দিকে শর্করা সন্ধানে, 
যদি মনে করো ভালোবাসা মরে গেছে 
ভালোবাসার এই শব্দের মানে ওখানে উল্টে দেখো। 
পথের কুকুর শুয়ে থাকে ঘুমে ল্যাম্পপোস্টের নিচে, 
ভিখিরি খোঁড়ায় হেঁটে যায় তবু হাত তার পেতে রাখে, 
কোথাও কিছুই মরে যায়নি তো, 
 
ঘুমে জাগরণে অভাবে অধীরে তবু 
রৌদ্রের দিকে। 
পাতা ঝরে যায়, পাতা ধরে ওঠে মাঠ, 
শাকান্ন তবু পরিতৃপ্তিতে সংশয়ী হাত চাটে— 
যদি মনে করো ভালোবাসা বলে কখনো ছিল না কিছু, 
অন্তত নিয়ো আমার অন্ন তোমাদের পাতে তুলে। 

৭.      এখন মধ্যরাত
       সৈয়দ শামসুল হক 


এখন মধ্যরাত। 
 তখন দুপুরে রাজপথে ছিলো মানুষের পদপাত। 
 মিছিলে মিছিলে টলমল ছিলো সারাদিন রাজধানী। 
 এখন কেবল জননকূল ছল বুড়িগঙ্গার পানি 
 শান্ত নীরব 
 নিদ্রিত সব। 
 ওই একজন জানালায় রাখে তার বিনিদ্র হাত 
 ছিলো একদিন তার 
 উজ্জ্বল দিন, ছিলো যৌবন ছিলো বহু চাইবার। 
 সারা রাত চষে ফিরেছে শহর খুঁজেছে সে ভালোবাসা। 
 পেতেছে সে হাত জীবনের কাছে ছিলো তারও প্রত্যাশা পাওয়া না পাওয়ার 
 প্রশ্নে হাওয়ার 
 বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে এখন সারারাত হাহাকার। 
 
 পথে ওড়ে ধুলো, ছাই ওড়ে শুধু পথে যে আগুন ছিলো 
 একদা সে জ্বেলে ছিলো। 
 হৃদয়ে এখন সৌধের ভাঙা টুকরো আছাড় খায়। 
 আলো নিভে যায়, নিভে যায় আলো একে একে জানালায়। 
 থেমে যায় গান 
 তারপরও প্রাণ 
 বাঁশিটির মতো বেজে চলে যেন সবই আছে সবই ছিলো।

৮.     রোশেনারা
     সৈয়দ শামসুল হক

তোমার বয়স কতো, আঠারো উনিশ? 
মুখশ্রী কেমন? রঙ চোখ চুল কী রকম? চলার ভঙ্গিমা? 
ছিল কি বাগান, আর তোমার মল্লিকা বনে ধরেছিল কলি? 
ছিলে তুমি কারো প্রতিমা? 
জানি না। 
 
না, জানি। 
পৃথিবীর সব মাস সব দিন তোমার হাতের মধ্যে এসে গিয়েছিল, 
দুপুরের মতো মুখ, রৌদ্রদগ্ধ চোখ, পায়ে চৈত্রের বাতাস, 
তোমার বাগানে- 
কলোনি স্বদেশে- ধরেছিল সাড়ে সাত কোটি মল্লিকার কলি, 
তুমি ছিলে মুক্তির প্রতিমা। 
 
ওই বুকে মাইন বেঁধে বলেছিলে- জয় বাংলা- 
মানুষের স্বাধীনতা দীর্ঘজীবী হোক, 
ট্যাঙ্কের ওপর ঝাঁপ দিতে দিতে বলেছিলে- 
বর্বরতা এইভাবে মুছে যাক, ধ্বংস হোক সভ্যতার কীট। 
অন্তিমবারের মতো পথিকেরা পথে এসে দাঁড়িয়েছে, আকাশে উঠেছে ধ্রুবতারা- 
ধ্রুবতারা হয়ে গেছে মুক্তির জননী রোশেনারা।


৯.        শূন্যতা
      সৈয়দ শামসুল হক 

এ বড় কঠিন রাত 
 
কনকনে শীতের রাত 
হাড়ের ভেতরে শীত 
কনকনে শীত 
যদি এ কেমন শীত—এই জিজ্ঞাসায় 
নিজের ভেতরে যে তাকায় 
সে দেখতে পায় 
ভালোবাসায় যে ছিল 
সে যখন চলে গিয়েছিল 
তখন হৃদয়ে তার নেমে এসেছিল 
বরফের মতো যে শূন্যতা 
তাকে বলে শীত 
কনকনে শীত 
হাওয়ার ভেতরে যদি কারও শব্দ ওঠে 
পায়ের কোমল শব্দ যদি অকস্মাৎ— 
তখন বসন্তদিন শীত ছিন্ন করে 
তখন এ বড় নয় কনকনে রাত 
তখন বসন্ত আর পাখিদের গাঢ় কলরব— 
কিন্তু এ এখন আমি মধু থেকে এত দূরে 
বরফে জমাট এক মানবিক শব। 

১০. তোমাকে অভিধান,বাংলাদেশ
          সৈয়দ শামসুল হক 

তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ, 
 তুমি ফিরে এসেছ তোমার মানচিত্রের ভেতরে 
 যার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তেরো শো নদীর ধারা 
 তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ, 
 তুমি ফিরে এসেছ তোমার করতলে পাঙরাটির বুকে 
 যার ডানা এখন রক্ত আর অশ্রুতে ভেজা 
 তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ, 
 তুমি ফিরে এসেছ তোমার বৃষ্টিভেজা খড়ের কুটিরে 
 যার ছায়ায় কত দীর্ঘ অপেক্ষায় আছে সন্তান এবং স্বপ্ন 
 তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ, 
 তুমি ফিরে এসেছ তোমার তোমার নৌকার গলুইয়ে 
 যার গ্রীবা এখন ভবিষ্যতের দিকে কেটে চলেছে স্রোত 
 তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ, 
 তুমি ফিরে এসেছ তোমার মাছধরা জালের ভেতরে 
 যেখানে লেজে মারছে বাড়ি একটা রুপালী চিতল 
 তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ, 
 তুমি ফিরে এসেছ তোমার হালের লাঙলের ভতরে 
 যার ফাল এখন চিরে চলেছে পৌষের নবান্নের দিকে 
 তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ, 
 তুমি ফিরে এসেছ তোমার নেহাই ও হাতুড়ির সংঘর্ষের ভতরে 
 যার একেকটি স্ফুলিঙ্গে এখন আগুন ধরছে অন্ধকারে 
 তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ, 
 তুমি ফিরে এসেছ তোমার কবিতার উচ্চারণে 
 যার প্রতিটি শব্দ এখন হয়ে উঠছে বল্লমের রুপালী ফলা 
 তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ, 
 তুমি ফিরে এসেছ তোমার দোতারার টান টান তারের ভেতরে 
 যার প্রতিটি টঙ্কার এখন ইতিহাসকে ধ্বনি করছে 
 তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ, 
 তুমি ফিরে এসেছ তোমার লাল সূর্য্ আঁকা পতাকার ভেতরে 
 যার আলোয় এখন রঞ্জিত হয়ে উঠছে সাহসী বদ্বীপ 
 তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ, 
 তুমি ফিরে এসেছ তোমার অনাহারী শিশুটির কাছে 
 যার মুঠোর ভেতরে এখন একটি ধানের বীজ 
 তোমাকে অভিবাদন, বাংলাদেশ, 
 তুমি ফিরে এসেছ তোমার প্লাবনের পর কোমল পলিমাটিতে 
 যেখানে এখন অনবরত পড়ছে কোটি কোটি পায়ের ছাপ। 




কবিতা গুলো পড়ে আপনাদের সবার ভাল লাগবে।আমার লেখার ভিতর যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে তাহলে আমাকে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন,,,,,,,প্লিজ।
পরবর্তী পর্ব পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।

No comments

Theme images by diane555. Powered by Blogger.