যাকাত ফরজ হওয়ার সাতটি শর্ত গুলো কি কি?? কোন ব্যক্তির উপর যাকাত ফরজ করা হয়েছে??
আমাদের ব্লগটিতে আপনাদের ভালোবাসাতে নতুন একটা ইসলামিক বিধি-বিধান ক্যাটাগরি যোগ করা হইলো। আশা করি আপনাদের ভালোবাসা পেলে সামনে আরো এগিয়ে যেতে সক্ষম হবো ইনশাল্লাহ।
আসসামু আলাইকুম পাঠক ভাই। কেমন আছেন আপনি। আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনিও ভালো আসেন। আমিও আলহামদুল্লাহ। যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন। সেই মহান রাব্বুল আমিন কে সবাই সর্বদা স্মরক করবো।
আজকে আপনাদের মাঝে যাকাত বিষয়ে কিছু আলোচনা করার জন্য চলে এসেছি। ছোট্ট একটা টিউটরিয়াল নিয়ে।অনেক বেশি কথা বলে ফেললাম এবার আমাদের আসল প্রসঙ্গে চলে যাই।
** যাকাত ফরজ হওয়া সাতটি শর্ত?
** শর্ত গুলো গুলো কি কি?
** কোনো সময় যাকাত দেওয়া ফরজ?
এসব প্রশ্ন নিয়ে আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। শুরু করি তাহলে--
যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত সাতটি। শর্তগুলোর বিবরণ নিচে দেওয়া হলো::
১. মুসলমান হওয়া::-
যাকাত ফরজ হওয়ার প্রথম শর্ত হলো মুসলমান হওয়া। অমুসলিমদের উপর যাকাত ফরজ নয়। কাজেই কোনো ব্যক্তি ইসলাম গ্রহন করলে তাকে তার অতীত জীবনের যাকাত দিতে হবে না। যেদিন মুসলমান হবে সেদিন থেকে হিসাব করে যাকাত দিতে হবে।
২. নিসাবের মালিক হওয়া::-
যে পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে শরিয়তে যাকাত ফরজ হয়, সে পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া।
৩. নিসাব পরিমাণ প্রয়োজনের অতিরিক্ত হওয়া::-
যেসব দ্রব্যের উপর মানুষের জীবনযাপন নির্ভর করে, সেসব জিনিসপত্রকে প্রয়োজনীয় দ্রব্য বলে। যেমন: খাওয়া- দাওয়া, পোশাক- পরিচ্ছিদ, বসবাসের বাড়িঘর, পেশাজীবীর যন্ত্রপাতি ইত্যাদি।যানবাহনের নৌকা, সাইকেল, মোটর, পশু, কৃষিকাজের সরঞ্জাম, পড়ালেখার সরঞ্জাম এসবও প্রয়োজনীয় জিনিসের অন্তর্ভুক্ত। এ গুলোর উপর যাকাত ফরজ হবে না।
৪. ঋণগ্রস্ত না হওয়া::-
ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেও তার উপর যাকাত ফরজ হবে না। কারণ সে জীবন ধারণের মৌলিক প্রয়োজনই ঋণ গ্রহন করেছে। তবে ঋণ পরিশোধ করার পর যদি নিসাব পরিমাণ সম্পদ কারো হাতে থাকে তাহলে তাকে যাকাত দিতে হবে।
৫. মাল এক বছরকাল স্থায়ী থাকা::-
নিসাব পরিমাণ সম্পক ব্যক্তির হাতে এক বছর কাল স্থায়ী না হলে, তার উপর যাকাত ফরজ হয় না। হাদিসে আছে, "ঐ সম্পদে যাকাত নেই যা পূণ এক বছর মালিকানায় না থাকে।" (ইবনে মাজাহ)
৬. জ্ঞানসম্পন্ন হওয়া::-
যাকাত ফরজ হওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে জ্ঞানসম্পন্ন হওয়া। জ্ঞানবুদ্ধিহীন তথা পাগলের উপর যাকাত ফরজ নয়।
৭. বালেগ হওয়া::-
যাকাতদাতাকে অবশ্যই বালেগ তথা প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। শিশু, নাবালেগ যত সম্পদের মালিকেই হোক না কেন, বালেগ হওয়ার পূর্বে তার উপর যাকাত ফরজ হয় না।
উপরক্ত সাতটি শর্তে যদি না পূর্ণ না হলে সেই সব ব্যক্তির উপর যাকাত ফরজ হবে না। ইসলামিক আরো বিষয় সম্পর্কে জানতে আমাদের ব্লগটি ভিজিট করুন আর চোখু রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজে। ব্লগ সাইটের হোম পেজে আমাদের ফেসবুক পেজের লিংক পেয়ে যাবেন।
আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্যা ধন্যবাদ। আপনার সুস্থতা ও
দীর্ঘায়ু কামনা করে। এখানে বিদায় নিচ্ছি।
আসসামু আলাইকুম পাঠক ভাই। কেমন আছেন আপনি। আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনিও ভালো আসেন। আমিও আলহামদুল্লাহ। যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন। সেই মহান রাব্বুল আমিন কে সবাই সর্বদা স্মরক করবো।
আজকে আপনাদের মাঝে যাকাত বিষয়ে কিছু আলোচনা করার জন্য চলে এসেছি। ছোট্ট একটা টিউটরিয়াল নিয়ে।অনেক বেশি কথা বলে ফেললাম এবার আমাদের আসল প্রসঙ্গে চলে যাই।
** যাকাত ফরজ হওয়া সাতটি শর্ত?
** শর্ত গুলো গুলো কি কি?
** কোনো সময় যাকাত দেওয়া ফরজ?
এসব প্রশ্ন নিয়ে আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। শুরু করি তাহলে--
যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত সাতটি। শর্তগুলোর বিবরণ নিচে দেওয়া হলো::
১. মুসলমান হওয়া::-
যাকাত ফরজ হওয়ার প্রথম শর্ত হলো মুসলমান হওয়া। অমুসলিমদের উপর যাকাত ফরজ নয়। কাজেই কোনো ব্যক্তি ইসলাম গ্রহন করলে তাকে তার অতীত জীবনের যাকাত দিতে হবে না। যেদিন মুসলমান হবে সেদিন থেকে হিসাব করে যাকাত দিতে হবে।
২. নিসাবের মালিক হওয়া::-
যে পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে শরিয়তে যাকাত ফরজ হয়, সে পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া।
৩. নিসাব পরিমাণ প্রয়োজনের অতিরিক্ত হওয়া::-
যেসব দ্রব্যের উপর মানুষের জীবনযাপন নির্ভর করে, সেসব জিনিসপত্রকে প্রয়োজনীয় দ্রব্য বলে। যেমন: খাওয়া- দাওয়া, পোশাক- পরিচ্ছিদ, বসবাসের বাড়িঘর, পেশাজীবীর যন্ত্রপাতি ইত্যাদি।যানবাহনের নৌকা, সাইকেল, মোটর, পশু, কৃষিকাজের সরঞ্জাম, পড়ালেখার সরঞ্জাম এসবও প্রয়োজনীয় জিনিসের অন্তর্ভুক্ত। এ গুলোর উপর যাকাত ফরজ হবে না।
৪. ঋণগ্রস্ত না হওয়া::-
ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেও তার উপর যাকাত ফরজ হবে না। কারণ সে জীবন ধারণের মৌলিক প্রয়োজনই ঋণ গ্রহন করেছে। তবে ঋণ পরিশোধ করার পর যদি নিসাব পরিমাণ সম্পদ কারো হাতে থাকে তাহলে তাকে যাকাত দিতে হবে।
৫. মাল এক বছরকাল স্থায়ী থাকা::-
নিসাব পরিমাণ সম্পক ব্যক্তির হাতে এক বছর কাল স্থায়ী না হলে, তার উপর যাকাত ফরজ হয় না। হাদিসে আছে, "ঐ সম্পদে যাকাত নেই যা পূণ এক বছর মালিকানায় না থাকে।" (ইবনে মাজাহ)
৬. জ্ঞানসম্পন্ন হওয়া::-
যাকাত ফরজ হওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে জ্ঞানসম্পন্ন হওয়া। জ্ঞানবুদ্ধিহীন তথা পাগলের উপর যাকাত ফরজ নয়।
৭. বালেগ হওয়া::-
যাকাতদাতাকে অবশ্যই বালেগ তথা প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। শিশু, নাবালেগ যত সম্পদের মালিকেই হোক না কেন, বালেগ হওয়ার পূর্বে তার উপর যাকাত ফরজ হয় না।
উপরক্ত সাতটি শর্তে যদি না পূর্ণ না হলে সেই সব ব্যক্তির উপর যাকাত ফরজ হবে না। ইসলামিক আরো বিষয় সম্পর্কে জানতে আমাদের ব্লগটি ভিজিট করুন আর চোখু রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজে। ব্লগ সাইটের হোম পেজে আমাদের ফেসবুক পেজের লিংক পেয়ে যাবেন।
আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্যা ধন্যবাদ। আপনার সুস্থতা ও
দীর্ঘায়ু কামনা করে। এখানে বিদায় নিচ্ছি।
No comments